পুলিশ বউয়ের রোমান্টিক অত্যাচার

পুলিশ বউয়ের রোমান্টিক অত্যাচার
writer : Sanvi Ahmed Shakib
#Dirty_Love
পর্ব ৩
.
সারারাত ঘুমাতে পারেনা সানভি। অনেক ভালবেসে ফেলছে সে নিলিমাকে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন?এবার বলেই দেই নাকি? দেখি কি হয়।
কিন্তু এতো তারাতারি বলাটা কি ঠিক হবে?
সে যাই হোক এভাবে মাথায় নিয়ে ঘোরাটাও ঠিক লাগতাছে না আমার কাছে। এবার বলেই দিবো।
এসব ভাবতে থাকে সানভি। কিন্তু কিভাবে বলবে এটাই ভেবে পায়না সে। যা হবার দেখা যাবে। এসব ভাবতে ভাবতেই সকাল হয়ে যায়। উঠে ফ্রেস হয় সারারাত ঘুমায়নি সে।
খাওয়া দাওয়া করে ভার্সিটিতে গিয়ে বসে প্রতিদিনের বসার জায়গাটায়। নিলিমা আসবে কখন মাথার মধ্যে শুধু এই একটাই চিন্তা। অনেকক্ষণ বসে থাকে উত্তেজনায়য় কেমন যানি লাগতাছে তার কিন্তু নিলিমার দেখা নাই। কোথায় সে আসতাছে না কেনো। তবে কি আসবে না সে।
এসব চিন্তা করতে করতেইই অনেক সময় পেরিয়ে যায় নিলিমা আসেনা। মাঠেও খেলতে আসেনা বিকেলে।
সেদিনের মতো সানভি বাসায় চলে যায়।
কিন্তু একটা চিন্তা তাকে ক্রমশই গ্রাস করে নেয় নিলিমা কই।
পরের দিন একটু আগেই কলেজে যায় সে।কিন্তু আজকেও নাই।
এভাবে কেটে যায় ৪ দিন।
আজকে ৫তম দিন নিরাশা নিয়েই বসে আছে সানভি।
আজকেও হয়তো আসবে না এই ভেবে।
পকেট থেকে ফোনটা হাতে নিয়ে নাড়াচারা করে টাইম দেখে কিন্তু নিলিমা আসে না।
,
মনে হয় আজকেও আসবে না উঠে দাড়াতেই দেখে নিলিমা।
সানভি কিছু না ভেবেই নিলিমাকে জড়িয়ে ধরে।
খুবব শক্ত করে। নিলিমাও অবাক হয়েছে হঠাৎ করেই ঘটে যায় ঘটনাটা।
সানভি জড়িয়ে ধরেই বলে,
- আমি তোমাকে ভালোবাসি নিলিমা। কোথায় ছিলে এই ৪ দিন জানো আমি প্রতিদিন অপেক্ষা করছি তোমার জন্য।
বলোনা তুমি আমাকে ভালোবাসো।(সানভি)

নিলিমা নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে সানভির গালে ঠাসসস করে একটা চড় মেরে বলে,
- আর কোনোদিন আমার সামনে আসবি না।
বলেই চলে যায়। সানভি হা করে তাকিয়ে থাকে।
সবার সামনে চর খাওয়ায় তার ভিষন লজ্জা লাগছিলো তারর চাইতে বেশি কষ্ট হচ্ছিলো।
আশেপাশের সবাই স্তব্ধ। কেও কেও হাসতাছে ফ্রিতে বিনোদন যাকে বলে।
সানভি মাথা নিচু করে ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে যায়।
চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে তার। বাসায় এসেই দরজা আটকিয়ে দেয়। তারপর সবকিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।কিন্তু চোখের সামনে নিলিমার মুখটাই ভেসে উঠে।
.
ওদিকে নিলিমা এখনো রেগে আছে দুদিনের পরিচয়েই প্রোপোস সবার সামনে। আরো কয়টা মারলে তার রাগ কমতো। রাগের মাথায় অন্যকিছু মাথায় থাকেনা তার।
ক্লাস শেষ করে বাসায় আসে নিলিমা। তারপর খাওয়া দাওয়া করে বিকেলে মাঠে যায় প্রতিদিনের মতোই।
.
খেলা শেষ করে সন্ধায় চলে আসে। খেয়ালই করেনা আজকে সানভি নাই। বলতে গেলে তার কথা মনেই পড়েনা তার। রাস্তা দিয়ে হাটতাছে সে হঠাৎ পায়ের ব্যাথাটা আবারো শুরু হয়। ঠিক তখন মনে পড়ে সানভির কথা। কয়দিন আগে সে তাকে বাড়ি পৌছে দিছিলো। কিন্তু তাকে তো আজকে মাঠে দেখলাম না। তখন মনে পড়ে আজকে সকালেই তাকে সে বলেছে আর সামনে না যেতে। নাহ সবার সামনে চড় মারাটা ঠিক হয়নাই সরি বলতে হবে।
,
কোনমতে বাসায় আসে নিলিমা। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমাতে যায় কিন্তু ঘুম আসেনা। মনের ভিতরর অপরাধবোধ কাজ করে তার।
ওদিকে সানভি ভাবতাছে শহড় ছেড়ে অন্য কোথাও থেকে কয়দিন ঘুরে আসবে। সে খাওয়ার টেবিলে গিয়ে তার মাকে বলে,
- আম্মু আমি ঘুরতে যাবো কোথাও।(সানভি)
- ভার্সিটি বন্ধ?(আম্মু)
- না ভালো লাগতাছে না ১৫ দিনের জন্য কোথাও যাবো।(সানভি)
- ১৫ দিনন তো আর কোথাও হোটেল এ থাকতে পারবি না এক কাজ কর তোর খালার বাসায় চলে যা সিলেট কিছুদিন থেকে আয় তোর খালাও যেতে বলছিলো।(আম্মু)
- আচ্ছা যাবো।(সানভি)
,
খাওয়া শেষ করে রুমে গিয়ে ব্যাগ গুছায় কালকে সকালেই চলে যাবে।
০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০
পরের দিন নিলিমা ভার্সিটি যায় কিন্তু আজকে জায়গাটা খালি। যেখানে সবাই মিলে আড্ডা দেয় সবাই আছে কিন্তু সানভিকে কোথাও দেখতে পায়না নিলিমা। সে ভাবে হয়তো ক্লাসে আছে। কিন্তু ক্লাসে গিয়েও কোথাও খুজে পায়না।
পাবে কিভাবে সানভি তো আর এই শহড়ে নাই সকাল হতেই বেরিয়ে গেছে বাসা থেকে।
,
টাংগাইল থেকে সিলেটের বাসে উঠেই নিজের সিট খুজে নেয় সানভি কিন্তু পাশের সিটে বসে আছে একটা মেয়ে যাকে দেখে সানভি টাশকি খেয়ে যায়। এটাতো নিলিমা। কিন্তু নিলিমা এখানে কিভাবে? মাথায় ঢুকেনা তার। নিলিমাতো ভার্সিটিতে।
- মেয়েটা সানভিকে দেখে বলে এই সিটটা আপনার?(মেয়েটা)
- জ্বি.(সানভি)
মেয়েটা সানভিকে যেতে দেয় বরাবরের মতোই সানভির সিটটা জানালার পাশেই।
সে যাই হোক এটা কোনো সমস্যা না কিন্তু নিলিমা তাকে চিনতে পারছে না এটা হলো সমস্যা। নিলিমা কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনতাছে সানভির দিকে একবারো তাকাচ্ছে না।
এটা কেমন ব্যাপার। বুঝতে পারেনা সানভি।
সানভি নিজেই মেয়েটাকে প্রশ্ন করে।
,
- আপনি নিলিমা না?(সানভি)
- কি বললেন বুঝলাম না?(মেয়েটা)
- আপনি নিলিমা।(সানভি)
- আমাকে কিভাবে চিনেন.(মেয়েটা)
- আমরা তো একি ভার্সিটিতে পড়ি তারপর কালকে থাপ্পড় মনে নাই?(সানভি)
- আমি নিলিমা না আমি নিলা!(মেয়েটা)
- মানে? (সানভি) অবাক হয়ে।
মেয়েটা তার ফোনে একটা ছবি দেখায় সানভিকে যা দেখে সানভির মাথা ঘুরে যায় দুইটা নিলিমা একসাথে।
,
মেয়েটা বলে,
- আমরা টুইন। আমার বোন নিলিমা আর আমি নিলা আপনার ওর সাথে দেখা হইছে আমার সাথে না কিন্তু থাপ্পড় কেনো দিছে ও আপনাকে?(নিলা)
সানভি মন খারাপ করে বলে,
- প্রোপোস করছিলাম।(সানভি)
- কিন্তু ওর তো বিয়ে হয়ে গেছে বলে নি কিছু আপনাকে?(নিলা)
.
সানভির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।
সে কিনা একটা বিবাহিতা মহিলার প্রেমে পড়লো অবশেষে।
আল্লাহ আম্রে উঠাইয়া নাও।
চলবে??
#ValoBasarGolpo

Comments

Popular posts from this blog

#জুনিয়র_বর

Life💜Partner লাইফ💜 পার্টনার ।