#জুনিয়র_বর
#জুনিয়র_বর
writer -#আফরোজা_রায়হান
পর্ব -২৪
....................®..................
.
.
.
.
আঁখি আর কিছু না ভেবে শুয়ে পরে ৷এ দিকে ইভারো কোনো পাত্তা নাই ৷মেয়েটা কি যে করছে ছাঁদে বুঝি না ৷
.
একটু পর কে যেনো দরজায় টকা দিলো ৷
.
আঁখি - কে ......
.
ইভা -আমি
.
আঁখি -কি চাই .....কথা বলা হলো
.
ইভা- হুমম হয়েছে ৷এবার দরজাটা খুল ভিতরে ঢুকবো ৷
.
আঁখি -..................
.
ইভা :কি রে ঘুমাইলি না কি........?
.
আঁখি -না .....
.
ইভা -তাহলে দরজা খুলছিস না কেনো......?
.
আঁখি -তুই আজ বাইরেই থাক ৷
.
ইভা -কিইইইইই.....
.
আঁখি -হুমমম.....
.
ইভা -প্লিস বাবুটা এমন করেনা .....প্লিস
.
আঁখি -এই যা তো এখান থেকে ...আমি ঘুমাবো ৷
.
ইভা -এই না না .....প্লিস দরজাটা খুল প্লিস......
.
আঁখি উঠে দরজাটা খুলে দিলো ৷
.
আঁখি -কি হয়েছে বল.....?
.
ইভা -আমার সাথে চল.....
.
আঁখি -কোথায়
.
ইভা -ছাঁদে...,,
.
আঁখি - তোর মাথা কি ঠিক আছে ....আমি এখন ছাঁদে যাবো ....কয়টা বাজে দেখছিস ৷
.
ইভা -প্লিস চল না ......
.
ইভা জোর করেই আঁখিকে ছাঁদে নিয়ে যাচ্ছে ৷
.
আঁখি :এই কি করছিস .....?ইভা তুই কি পাগল হয়ে গেছিস ৷
.
আঁখি ছাঁদের দরজায় পা রেখেই অবাক হয়ে গেলো ৷
.
আঁখি - কি এসব .......?এখানে এতো ফুল কেনো আর গেইট টা সাজালো কে......?
.
ইভা - ভিতরে চল সব বুঝতে পারবি.....
.
আঁখি ভিতরে মানে ছাঁদে গিয়ে আশ্চর্য হয়ে গেলো ৷তার জন্য এতো বড়ো সারপ্রাইজ অপেক্ষা করতেছে সে বুঝতেই পারেনি ৷
.
আঁখিকে দেখে সবাই বলে উঠল .....Happy Birthday to u ......
.
আঁখি যেনো বিশ্বাস করতে পারছে না ৷সে তো ভেবেই নিয়েছিলো তার জন্মদিন কেউ মনে রাখেনি ৷তাই রাগ করে আর কাউকে মনেও করিয়ে দেয় নি
.
আঁখি আরো বেশি অবাক হলো আবির আর রিফাত কে দেখে এরা কখন আসলো আর এতকিছুই বা এরা কখন করলো ৷
তাই আবির আমার ফোন রিসিভ করছিলো না বারবার বলতেছিলো বিজি আছি ৷
.
আর আম্মু এই জন্যই আমাকে ছাঁদে আসতে মানা করেছিলো ৷আর ইভাও তাহলে এদের সাথেই ছিলো ৷
.
ইভা -কি মেডাম কি ভাবতেছো....?
.
আম্মু -যা ভাবতেছিস তাই.....এই জন্যই তোকে ছাঁদে আসতে মানা করেছি ৷
.
রিফাত -কি রে পছন্দ হয়নি না কি .....?অল্প সময়ের মধ্যে করতে হয়েছে তাই তেমন কিছু করতে পারিনি ৷
.
আঁখি -তোরা আমাকে না জানিয়ে এতো কিছু কেনো করলি ৷
.
ইভা -তোকে বললে কি আর ....?সারপ্রাইজ টা সারপ্রাইজ থাকতো ....বোকা মেয়ে ৷
.
আব্বু -আচ্ছা আর রাগ করতে হবে না ৷আয় এবার কেকটা কাট ৷
.
আঁখি কেক কেটে সবাইকে খাওয়ালো ৷
.
আম্মু আব্বু রুমে চলে গেলো ,রিফাত আর ইভাও চলে গেলো ৷
.
আঁখি আর আবির ছাঁদে দাড়িয়ে আছে ৷কেউ কোনো কথা বলছে না ৷
তাই প্রথমে আবির নিরবতা ভেঙে কথা বললো ৷
.
আবির -কি হলো কি ভাবছো......?
.
আঁখি -কই কিছু না তো......
.
আবির -এরেজমেন্ট পছন্দ হয়নি না .....
.
আঁখি -খুব হয়েছে .....আসলে আমি ভাবিনি তোমরা এতো কিছু করবে ৷
.
আবির -খুশি হওনি.....
.
আঁখি -হুমম খুব খুশি হয়েছি ৷আর বেশি খুশি হয়েছি তোমাকে দেখে ৷
.
আবির -আবির আঁখির কিছুটা কাছে এসে , সত্যি খুশি হয়েছো ৷তাহলে তো একটু ......
.
আঁখি -এই একদম না কিন্তু .....
.
আবির - আমি যে এতো কষ্ট করে এতো সুন্দর করে এতো কিছু সাজালাম তার জন্য তো একটা পাপ্পি পেতেই পারি বলো ....৷
.
আঁখি -নো মিস্টার .....কিন্তু আমার গিফ্ট কোথায় হা ৷
.
আবির :সরি সরি ভুলে গেছিলাম ৷এই যে তোমার গিফ্ট ৷
.
আঁখি -কি এটা ....?
,
আবির -খুলে দেখো .....
.
আঁখি পেকেট টা খুলে দেখলো নীল রঙের খুব সুন্দর একটা গাউন ৷
.
আবির - কি হলো পছন্দ হয়নি ৷
.
আঁখি - খুব সুন্দর ....কিন্তু তুমি কি করে জানলে আমার প্রিয় নীল ৷
.
আবির -প্রিয় মানুষের সব কিছু জানতে হয় না কিছু কিছু জিনিস মন নিজে থেকে বলে দেয় ৷
আর হা কাল পার্টিতে কিন্তু এটা পরবে কেমন ....?
.
আঁখি - জো হুমুক .....আচ্ছা এবার নিচে চলো ....
.
রুমে এসে সে যার মতো শুয়ে পরলো ৷আঁখি আর ইভা এক রুমে ৷রিফাত আর আবির তার পাশের রুমে ৷
.
খুব সকাল বেলা আম্মু উঠে পায়েস রান্না করলো ৷
সবাই এক সাথে নাস্তা করে ৷সন্ধ্যায় পার্টিতে কি হবে কাকে কাকে ইনভাইট করবে এসব বিষয়ে আলোচনা করলো ৷
.
সন্ধ্যায় পর সব গেস্ট আসা শুরু করলো ৷
.
এদিকে ইভা আঁখিকে সাজাচ্ছে ৷
.
সব গেস্ট আসা শেষ ৷কিন্তু ইভা আর আঁখি এখনো নামছে না ৷
.
আব্বু -রিফাত .....
.
রিফাত -জ্বি আঙ্কেল ....
.
আব্বু -তুমি গিয়ে দেখো তো আঁখি রা এখনো নামছে না কেনো.....?
.
রিফাত -যাচ্ছি আঙ্কেল ৷
.
রিফাত উপরে গিয়ে দরজাল টকা দিলো ৷
.
ইভা - কে......
.
রিফাত - আমি....সব গেস্ট তো চলে এসেছে ৷তোমাদের হলো .....
.
ইভা - এই তো হয়েছে ৷তুমি যাও আমরা আছসি
.
রিফাত -তাড়াতাড়ি আসো ....সবাই ওয়েট করছে ৷
.
কিছু পর ইভা আর আঁখি উপর থেকে নামছে ৷
সবাই ওদের হা করে দেখছে ৷কি সুন্দর লাগছে ওদের দুজনকে যা বলে বোঝানো যাবে না ৷
.
আঁখি আবিরের দেয়া নীল রঙের গাউন টা পরেছে ৷আর ইভা একটা সাদা রঙের গাউন পরেছে ৷দুজনকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে ৷
.
আবির তো ওর মায়াবতী কেই দেখছে ,যেনো সারাটা জনম দেখলেও দেখা শেষ হবে না ৷নীল রং আঁখির পছন্দ এটা ইভা আবিরকে বলেছে কিন্তু নীল রং এ যে তার মায়াবতী নীল পরীর মতো লাগবে তা আবির কল্পনাও করতে পারেনি ৷
.
রিফাত তো হা করে ইভাকে দেখছে ৷এতো সুন্দর লাগছে তার মনের মানুষকে ৷সাদা রঙ এ যেনো এ এক সাদা পরী ৷সর্গ থেকে নেমে এসেছে ৷
.
ইভা :এই যে হা করে কি দেখছো ,পোকা ঢুকবে মুখে ৷
.
রিফাত -আমার সাদা পরীকে ৷
.
আবির তো তখন থেকে আঁখিকেই দেখছে ৷
.
আঁখি - কি দেখছো.....?
.
আবির এতোটাই আঁখিকে দেখায় মগ্ন ছিলো যে আঁখি তার পাশে এসে দাড়ি আছে ,যে লক্ষ্যই করেছি ৷
.
আবির -কই কিছু না তো
.
আঁখি -মিথ্যে বলবে না কিন্তু
.
আবির -আমার মায়াবতীকে দেখছি ৷
.
আঁখি :তাই....
.
আবির -হুমম
.
আবির আর রিফাত কেও খুব সুন্দর লাগছে ৷
আবির কালো পেন্ট আর সাদা সার্ট পড়েছে ৷
আর রিফাত ব্লু রং এর সার্ট আর সাদা পেন্ট পড়েছে ৷সব মিলিয়ে দুজনকে চোখে পরার মতো সুন্দর লাগছে ৷
.
আজ পার্টি সবাই এসেছে আবিরের আম্মু আব্বু ভাই ৷রিফাতের বোন আর আম্মু ৷ইভার বাড়ি থেকে ওর আম্মু আম্মু দুই বোন আর ওর ভাই এসেছে ৷খুশিদের বাড়ি থেকেও সবাই এসেছে ৷আরো অনেকে এসেছে আজ ৷
.
আঁখি বড়োদের কে সালাম করে ৷কেক কাঁটতে যাবে এমন সমন দুজন লোক আসলো ৷একজন মধ্য বয়সি আর একজন যুবক ৷তাদের সাথে আরো অনেকে এসেছে ৷ওদের দেখে আঁখি থমকে গেলো ৷
.
ওরা সবাই আঁখিকে উইস করলো অনেক গিফ্ট নিয়ে এসেছে ওরা ৷
.
আঁখি -আপনারা এখানে কেনো আর আপনাদের কে ইনভাইট করেছে ৷
.
আম্মু -আঁখি মা আজকের দিনে এমন করে না ৷
.
আঁখি -আম্মু আজকের দিনে ওরা এখানে কেনো৷কেনো এসেছে ওরা প্লিস ওদের চলে যেতে বলো প্লিস....
.
আব্বু -না মা ওমন কথা বলে না ৷ওদের চলে যেতে কি করে বলবো ...?ওদের যে অধিকার আছে আসার ৷
.
আঁখি -কিসের অধিকার আব্বু ৷আমার উপর শুধু তোমাদের অধিকার আছে আর কারো না ৷
.
গেস্টদের মধ্যে অনেকেই কানাকানি করছে এটা এখানে কেনো আর কিসের অধিকারের কথাই বা বলছে আসরাফ চৌধুরী ৷(আঁখির আব্বু)
.
ইভার আম্মু -ভাইজান বাদল চৌধুরীর আবার কিসের অধীকার আঁখির উপর ৷
.
যারা এসেছে আঁখির উপর অধীকার দেখাতে তারা হলো বড়ো বিজনেজমেন বাদল চৌধুরী তার ছেলে নয়ন চৌধুরী আর তার পরিবার ৷
.
আঁখি :এই যে বাদল চৌধুরী আপনাকে বলছি কেনো এসেছেন আপনি ৷কি চান আপনি আমার কাছে ....?সবার সামনে আমাকে এতিম প্রমান করতে চান ৷
.
বাদল চৌধুরি -না রে মা ......
.
আঁখি - আপনি আমাকে মা বলবেন না ৷আপনাকে আমি সহ্য করতে পারি না যানেন না ৷আমি আপনাকে ঘৃণা করি ঘৃণা ৷
.
নয়ন চৌধুরী :আঁখি কি বলছিস তুই মান আর না মান উনি আমাদের বাবা হন বুঝেছো ৷
.
আঁখি -ওই লোকটা তোমার বাবা হতে পারে আমার না ৷
.
গেস্টদের মধ্যে অনেই বলে উঠলো বাদল চৌধুরী আঁখির বাবা তাহলে আসরাফ চৌধুরী কে......?
.
আঁখি আবারো বললো ;তোমার বাবা আর ফ্রেমলির সবাইকে নিয়ে এসে আজকের দিনে আমাকে অপমান না করলেও পারতে নয়ন চৌধুরী ৷কি দোষ আমার কেনো আসলে তোমরা আমি তোমাদের সহ্য করতে পারছি না প্লিস বেরিয়ে যাও এখান থেকে ৷
.
বাদল চৌধুরী আঁখির হাত ধরতে গেলে আঁখি এক ঝটকায় হাতটা ছাড়িয়ে নিতে গিয়ে বাদল চৌধুরী তাল সামলাতে না পেরে পরে যায় ৷
.
আঁখির আম্মু আঁখির এই অসভ্যতা দেখে আঁখিকে টেনে একটা চর মারে ৷
.
আঁখি :আম্মু তুমি আমাকে মারলে ৷
.
আম্মু :বেস করেছি (কান্না জড়িতো কষ্টে)এই শিক্ষা দিয়ে তোকে আমরা বড়ো করেছি ৷
.
আঁখি -আম্মু ওই লোকটার জন্য তুমি আমার গায়ে হাত তুললে ৷
.
আম্মু -হা তুলেছি ৷কারণ উনি তোর আসল বাবা ৷
.
আঁখি -বাহ্ আম্মু বাহ্ ৷আজ তাহলে নিজের মুখেই শিকার করলে আমি তোমাদের পালিতো মেয়ে ৷(আঁখির দু চোখ দিয়ে পানি পরছে)
.
,
.
.
(#চলবে..........)
writer -#আফরোজা_রায়হান
পর্ব -২৪
....................®..................
.
.
.
.
আঁখি আর কিছু না ভেবে শুয়ে পরে ৷এ দিকে ইভারো কোনো পাত্তা নাই ৷মেয়েটা কি যে করছে ছাঁদে বুঝি না ৷
.
একটু পর কে যেনো দরজায় টকা দিলো ৷
.
আঁখি - কে ......
.
ইভা -আমি
.
আঁখি -কি চাই .....কথা বলা হলো
.
ইভা- হুমম হয়েছে ৷এবার দরজাটা খুল ভিতরে ঢুকবো ৷
.
আঁখি -..................
.
ইভা :কি রে ঘুমাইলি না কি........?
.
আঁখি -না .....
.
ইভা -তাহলে দরজা খুলছিস না কেনো......?
.
আঁখি -তুই আজ বাইরেই থাক ৷
.
ইভা -কিইইইইই.....
.
আঁখি -হুমমম.....
.
ইভা -প্লিস বাবুটা এমন করেনা .....প্লিস
.
আঁখি -এই যা তো এখান থেকে ...আমি ঘুমাবো ৷
.
ইভা -এই না না .....প্লিস দরজাটা খুল প্লিস......
.
আঁখি উঠে দরজাটা খুলে দিলো ৷
.
আঁখি -কি হয়েছে বল.....?
.
ইভা -আমার সাথে চল.....
.
আঁখি -কোথায়
.
ইভা -ছাঁদে...,,
.
আঁখি - তোর মাথা কি ঠিক আছে ....আমি এখন ছাঁদে যাবো ....কয়টা বাজে দেখছিস ৷
.
ইভা -প্লিস চল না ......
.
ইভা জোর করেই আঁখিকে ছাঁদে নিয়ে যাচ্ছে ৷
.
আঁখি :এই কি করছিস .....?ইভা তুই কি পাগল হয়ে গেছিস ৷
.
আঁখি ছাঁদের দরজায় পা রেখেই অবাক হয়ে গেলো ৷
.
আঁখি - কি এসব .......?এখানে এতো ফুল কেনো আর গেইট টা সাজালো কে......?
.
ইভা - ভিতরে চল সব বুঝতে পারবি.....
.
আঁখি ভিতরে মানে ছাঁদে গিয়ে আশ্চর্য হয়ে গেলো ৷তার জন্য এতো বড়ো সারপ্রাইজ অপেক্ষা করতেছে সে বুঝতেই পারেনি ৷
.
আঁখিকে দেখে সবাই বলে উঠল .....Happy Birthday to u ......
.
আঁখি যেনো বিশ্বাস করতে পারছে না ৷সে তো ভেবেই নিয়েছিলো তার জন্মদিন কেউ মনে রাখেনি ৷তাই রাগ করে আর কাউকে মনেও করিয়ে দেয় নি
.
আঁখি আরো বেশি অবাক হলো আবির আর রিফাত কে দেখে এরা কখন আসলো আর এতকিছুই বা এরা কখন করলো ৷
তাই আবির আমার ফোন রিসিভ করছিলো না বারবার বলতেছিলো বিজি আছি ৷
.
আর আম্মু এই জন্যই আমাকে ছাঁদে আসতে মানা করেছিলো ৷আর ইভাও তাহলে এদের সাথেই ছিলো ৷
.
ইভা -কি মেডাম কি ভাবতেছো....?
.
আম্মু -যা ভাবতেছিস তাই.....এই জন্যই তোকে ছাঁদে আসতে মানা করেছি ৷
.
রিফাত -কি রে পছন্দ হয়নি না কি .....?অল্প সময়ের মধ্যে করতে হয়েছে তাই তেমন কিছু করতে পারিনি ৷
.
আঁখি -তোরা আমাকে না জানিয়ে এতো কিছু কেনো করলি ৷
.
ইভা -তোকে বললে কি আর ....?সারপ্রাইজ টা সারপ্রাইজ থাকতো ....বোকা মেয়ে ৷
.
আব্বু -আচ্ছা আর রাগ করতে হবে না ৷আয় এবার কেকটা কাট ৷
.
আঁখি কেক কেটে সবাইকে খাওয়ালো ৷
.
আম্মু আব্বু রুমে চলে গেলো ,রিফাত আর ইভাও চলে গেলো ৷
.
আঁখি আর আবির ছাঁদে দাড়িয়ে আছে ৷কেউ কোনো কথা বলছে না ৷
তাই প্রথমে আবির নিরবতা ভেঙে কথা বললো ৷
.
আবির -কি হলো কি ভাবছো......?
.
আঁখি -কই কিছু না তো......
.
আবির -এরেজমেন্ট পছন্দ হয়নি না .....
.
আঁখি -খুব হয়েছে .....আসলে আমি ভাবিনি তোমরা এতো কিছু করবে ৷
.
আবির -খুশি হওনি.....
.
আঁখি -হুমম খুব খুশি হয়েছি ৷আর বেশি খুশি হয়েছি তোমাকে দেখে ৷
.
আবির -আবির আঁখির কিছুটা কাছে এসে , সত্যি খুশি হয়েছো ৷তাহলে তো একটু ......
.
আঁখি -এই একদম না কিন্তু .....
.
আবির - আমি যে এতো কষ্ট করে এতো সুন্দর করে এতো কিছু সাজালাম তার জন্য তো একটা পাপ্পি পেতেই পারি বলো ....৷
.
আঁখি -নো মিস্টার .....কিন্তু আমার গিফ্ট কোথায় হা ৷
.
আবির :সরি সরি ভুলে গেছিলাম ৷এই যে তোমার গিফ্ট ৷
.
আঁখি -কি এটা ....?
,
আবির -খুলে দেখো .....
.
আঁখি পেকেট টা খুলে দেখলো নীল রঙের খুব সুন্দর একটা গাউন ৷
.
আবির - কি হলো পছন্দ হয়নি ৷
.
আঁখি - খুব সুন্দর ....কিন্তু তুমি কি করে জানলে আমার প্রিয় নীল ৷
.
আবির -প্রিয় মানুষের সব কিছু জানতে হয় না কিছু কিছু জিনিস মন নিজে থেকে বলে দেয় ৷
আর হা কাল পার্টিতে কিন্তু এটা পরবে কেমন ....?
.
আঁখি - জো হুমুক .....আচ্ছা এবার নিচে চলো ....
.
রুমে এসে সে যার মতো শুয়ে পরলো ৷আঁখি আর ইভা এক রুমে ৷রিফাত আর আবির তার পাশের রুমে ৷
.
খুব সকাল বেলা আম্মু উঠে পায়েস রান্না করলো ৷
সবাই এক সাথে নাস্তা করে ৷সন্ধ্যায় পার্টিতে কি হবে কাকে কাকে ইনভাইট করবে এসব বিষয়ে আলোচনা করলো ৷
.
সন্ধ্যায় পর সব গেস্ট আসা শুরু করলো ৷
.
এদিকে ইভা আঁখিকে সাজাচ্ছে ৷
.
সব গেস্ট আসা শেষ ৷কিন্তু ইভা আর আঁখি এখনো নামছে না ৷
.
আব্বু -রিফাত .....
.
রিফাত -জ্বি আঙ্কেল ....
.
আব্বু -তুমি গিয়ে দেখো তো আঁখি রা এখনো নামছে না কেনো.....?
.
রিফাত -যাচ্ছি আঙ্কেল ৷
.
রিফাত উপরে গিয়ে দরজাল টকা দিলো ৷
.
ইভা - কে......
.
রিফাত - আমি....সব গেস্ট তো চলে এসেছে ৷তোমাদের হলো .....
.
ইভা - এই তো হয়েছে ৷তুমি যাও আমরা আছসি
.
রিফাত -তাড়াতাড়ি আসো ....সবাই ওয়েট করছে ৷
.
কিছু পর ইভা আর আঁখি উপর থেকে নামছে ৷
সবাই ওদের হা করে দেখছে ৷কি সুন্দর লাগছে ওদের দুজনকে যা বলে বোঝানো যাবে না ৷
.
আঁখি আবিরের দেয়া নীল রঙের গাউন টা পরেছে ৷আর ইভা একটা সাদা রঙের গাউন পরেছে ৷দুজনকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে ৷
.
আবির তো ওর মায়াবতী কেই দেখছে ,যেনো সারাটা জনম দেখলেও দেখা শেষ হবে না ৷নীল রং আঁখির পছন্দ এটা ইভা আবিরকে বলেছে কিন্তু নীল রং এ যে তার মায়াবতী নীল পরীর মতো লাগবে তা আবির কল্পনাও করতে পারেনি ৷
.
রিফাত তো হা করে ইভাকে দেখছে ৷এতো সুন্দর লাগছে তার মনের মানুষকে ৷সাদা রঙ এ যেনো এ এক সাদা পরী ৷সর্গ থেকে নেমে এসেছে ৷
.
ইভা :এই যে হা করে কি দেখছো ,পোকা ঢুকবে মুখে ৷
.
রিফাত -আমার সাদা পরীকে ৷
.
আবির তো তখন থেকে আঁখিকেই দেখছে ৷
.
আঁখি - কি দেখছো.....?
.
আবির এতোটাই আঁখিকে দেখায় মগ্ন ছিলো যে আঁখি তার পাশে এসে দাড়ি আছে ,যে লক্ষ্যই করেছি ৷
.
আবির -কই কিছু না তো
.
আঁখি -মিথ্যে বলবে না কিন্তু
.
আবির -আমার মায়াবতীকে দেখছি ৷
.
আঁখি :তাই....
.
আবির -হুমম
.
আবির আর রিফাত কেও খুব সুন্দর লাগছে ৷
আবির কালো পেন্ট আর সাদা সার্ট পড়েছে ৷
আর রিফাত ব্লু রং এর সার্ট আর সাদা পেন্ট পড়েছে ৷সব মিলিয়ে দুজনকে চোখে পরার মতো সুন্দর লাগছে ৷
.
আজ পার্টি সবাই এসেছে আবিরের আম্মু আব্বু ভাই ৷রিফাতের বোন আর আম্মু ৷ইভার বাড়ি থেকে ওর আম্মু আম্মু দুই বোন আর ওর ভাই এসেছে ৷খুশিদের বাড়ি থেকেও সবাই এসেছে ৷আরো অনেকে এসেছে আজ ৷
.
আঁখি বড়োদের কে সালাম করে ৷কেক কাঁটতে যাবে এমন সমন দুজন লোক আসলো ৷একজন মধ্য বয়সি আর একজন যুবক ৷তাদের সাথে আরো অনেকে এসেছে ৷ওদের দেখে আঁখি থমকে গেলো ৷
.
ওরা সবাই আঁখিকে উইস করলো অনেক গিফ্ট নিয়ে এসেছে ওরা ৷
.
আঁখি -আপনারা এখানে কেনো আর আপনাদের কে ইনভাইট করেছে ৷
.
আম্মু -আঁখি মা আজকের দিনে এমন করে না ৷
.
আঁখি -আম্মু আজকের দিনে ওরা এখানে কেনো৷কেনো এসেছে ওরা প্লিস ওদের চলে যেতে বলো প্লিস....
.
আব্বু -না মা ওমন কথা বলে না ৷ওদের চলে যেতে কি করে বলবো ...?ওদের যে অধিকার আছে আসার ৷
.
আঁখি -কিসের অধিকার আব্বু ৷আমার উপর শুধু তোমাদের অধিকার আছে আর কারো না ৷
.
গেস্টদের মধ্যে অনেকেই কানাকানি করছে এটা এখানে কেনো আর কিসের অধিকারের কথাই বা বলছে আসরাফ চৌধুরী ৷(আঁখির আব্বু)
.
ইভার আম্মু -ভাইজান বাদল চৌধুরীর আবার কিসের অধীকার আঁখির উপর ৷
.
যারা এসেছে আঁখির উপর অধীকার দেখাতে তারা হলো বড়ো বিজনেজমেন বাদল চৌধুরী তার ছেলে নয়ন চৌধুরী আর তার পরিবার ৷
.
আঁখি :এই যে বাদল চৌধুরী আপনাকে বলছি কেনো এসেছেন আপনি ৷কি চান আপনি আমার কাছে ....?সবার সামনে আমাকে এতিম প্রমান করতে চান ৷
.
বাদল চৌধুরি -না রে মা ......
.
আঁখি - আপনি আমাকে মা বলবেন না ৷আপনাকে আমি সহ্য করতে পারি না যানেন না ৷আমি আপনাকে ঘৃণা করি ঘৃণা ৷
.
নয়ন চৌধুরী :আঁখি কি বলছিস তুই মান আর না মান উনি আমাদের বাবা হন বুঝেছো ৷
.
আঁখি -ওই লোকটা তোমার বাবা হতে পারে আমার না ৷
.
গেস্টদের মধ্যে অনেই বলে উঠলো বাদল চৌধুরী আঁখির বাবা তাহলে আসরাফ চৌধুরী কে......?
.
আঁখি আবারো বললো ;তোমার বাবা আর ফ্রেমলির সবাইকে নিয়ে এসে আজকের দিনে আমাকে অপমান না করলেও পারতে নয়ন চৌধুরী ৷কি দোষ আমার কেনো আসলে তোমরা আমি তোমাদের সহ্য করতে পারছি না প্লিস বেরিয়ে যাও এখান থেকে ৷
.
বাদল চৌধুরী আঁখির হাত ধরতে গেলে আঁখি এক ঝটকায় হাতটা ছাড়িয়ে নিতে গিয়ে বাদল চৌধুরী তাল সামলাতে না পেরে পরে যায় ৷
.
আঁখির আম্মু আঁখির এই অসভ্যতা দেখে আঁখিকে টেনে একটা চর মারে ৷
.
আঁখি :আম্মু তুমি আমাকে মারলে ৷
.
আম্মু :বেস করেছি (কান্না জড়িতো কষ্টে)এই শিক্ষা দিয়ে তোকে আমরা বড়ো করেছি ৷
.
আঁখি -আম্মু ওই লোকটার জন্য তুমি আমার গায়ে হাত তুললে ৷
.
আম্মু -হা তুলেছি ৷কারণ উনি তোর আসল বাবা ৷
.
আঁখি -বাহ্ আম্মু বাহ্ ৷আজ তাহলে নিজের মুখেই শিকার করলে আমি তোমাদের পালিতো মেয়ে ৷(আঁখির দু চোখ দিয়ে পানি পরছে)
.
,
.
.
(#চলবে..........)
Comments
Post a Comment