Life💜Partner লাইফ💜 পার্টনার ।

Life💜Partner
লাইফ💜 পার্টনার
।
Part - 24
।
#Writer : #Wajifa_Islam_Nupur
#লেখিকা : #ওয়াজিফা_ইসলাম..নূপুর
.
.
.
চেয়ারের সাথে মাথা ঠেকিয়ে চুপটি করে আয়ানের চেহারার দিকে তাকিয়ে আছি। এই চেহারার মধ্যেই যেন আমার সব সুখ বিরাজ করছে। আমার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে নাক বেয়ে পড়ছে। আয়ানের এখনও কোনো সাড়াশব্দ নেই। চুপচাপ ঘুমাচ্ছেন।ভালবাসা বুঝি এমনই হয়। কষ্ট ছাড়া ভালোবাসার সূচনা হয়ত আসলেই বেমানান! কষ্টের আগুনে দুটো মন পুড়েই হয়ত ভালোবাসার সম্পর্কটা আরও বেশী মজবুত হয়। আয়ানকে এখন আরও বেশী ফিল করছি। ওনার হাসি না দেখলে আমার জীবনের ছন্দটাই হারিয়ে যাবে। ওনার অস্তিত্ব উপলব্ধি করতে না পারলে, আমার অস্তিত্বটাই বিলীন হয়ে যাবে। যেই আমি নিজেই এতটা অগোছালো, কিন্তু আজ আয়ানের পৃথিবীটা খুব করে গুছিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে। আপনি আপনার ভালবাসার জানান না দিয়েও আমার হৃদয়টাকে ভালোবাসার সমুদ্রে ডুব দিতে শিখিয়ে দিয়েছেন।
।
ঘড়িতে বাজে ০৩:৪৯। চোখ দুটো জ্বলছে। আর তাকিয়ে থাকতে পারছিনা। সারারাত চোখ দুটোর উপর খুব বেশী জুলুম হয়েছে। আয়ানকে নিশ্চিন্তে ঘুমুতে দেখে মন কিছুটা হালকা হলো। খুব ঠান্ডা লাগছে। জ্যাকেটের পকেটে হাত দুটো ঢুকিয়ে দিয়ে এভাবেই পড়ে রইলাম চেয়ারে। কখন যেন চোখ দুটো লেগে এলো।
।
হঠ্যাৎ কানে কিছু একটা পড়ে যাওয়ার শব্দ যেতেই চমকে উঠলাম! তাকিয়ে দেখি যে বাটিতে করে পানি এনেছিলাম, ঐটা মাটিতে পড়ে আছে আর আয়ান উঠে বসার চেষ্টা করছেন। আমি তারাতারি উঠে আয়ানকে উঠে বসতে সাহায্য করলাম। তারপর মাটি থেকে বাটিটি তুলে আবারও চেয়ারে বসলাম। আমি আয়ানের দিকে উৎসুকতা নিয়ে তাকিয়ে আছি। ওনার মুখ থেকে আবারও ভালবাসার কথা শোনার আশায়। আয়ান একবার আমার দিকে তাকিয়ে সাথে সাথে নজরটা ঘুরিয়ে নিলেন।
।
আয়ান : সরি! বাটিটা আমার হাত লেগে পড়ে গেছে।
.
আমি : ইটস ওকে।
।
আয়ান তবুও আমার দিকে একবারও তাকাচ্ছেন না। ওনার চেহারাটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, উনি ইতস্তত বোধ করছেন। আমি কারণটা না বুঝতে পেরে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখি ওরনাটা আমার শরীরে নেই। কাল রাতেই তো ওরনাটা শুকাতে দিয়েছিলাম। আমি তড়িঘড়ি করে পাশের চেয়ার থেকে ওরনাটা নিয়ে শরীরে জড়িয়ে নিলাম। একটু লজ্জা লাগলো কিন্তু আয়ানের এরকম ব্যবহার দেখে ভালোও লাগলো।
।
আমি : আপনি ঠিক আছেন?
.
আয়ান : হুম আমার আবার কি হবে? তুমি এখানে চেয়ারে বসে আছো ক্যানো? ঘুমাওনি?
।
আয়ান খুব স্বাভাবিকভাবে কথা বলছেন। কাল রাতে হঠ্যাৎ এত্তকিছু বলে ফেলার পরেও ওনার এরকম স্বাভাবিক আচরণ দেখে আমি একটু অবাক হচ্ছি। কতক্ষণ শুধু হা হয়ে ওনার কিছু কথা গিললাম। হঠ্যাৎ উনি আমায় চমকে দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
।
আয়ান : এ কী! তোমার চাদরটাও আমার কাছে এলো কি করে?
.
আমি : আমি এনে দিয়েছি।
.
আয়ান : কেনো? আর আমিও যে, কিভাবে হঠ্যাৎ ঘুমিয়ে পড়লাম! তোমার রাতে কোনো সমস্যা হয়নি তো? আমাকে ডেকে দিলেই তো পারতে। আমারই দোষ, আমিই পড়ে পড়ে ঘুমোতে শুরু করে দিয়েছিলাম।
।
আয়ানের বলা প্রত্যেকটা কথা আমাকে অবাক করে দিচ্ছে। এই ছেলে কাল রাতে আমায় কতকিছু বললেন, আর এখন এমনভাবে কথা বলছেন যে, কিছু হয়ই নি! আমি একটু বাজিয়ে দেখার জন্য বললাম,
।
আমি : কাল রাতে ঘুম থেকে একবারও জেগে উঠেননি?
.
আয়ান : নাহ! আমিও তো তাই অবাক হচ্ছি যে, এত্ত কিভাবে ঘুমালাম! তোমার কোনো প্রবলেম হয়নি তো?
.
আমি : না।
।
আমি কোনোমতে স্বাভাবিক আচরণ করে ওয়াশরুমে চলে এলাম। বুক ফেটে কান্না আসছে আমার। তার মানে কাল রাতের কোনকিছুই মনে নেই আয়ানের। সবটাই ওনার জ্বরের ঘোরে বলা কথা ছিলো? উনি নিজ মুখে বলেছিলেন যে, উনি আমায় ভালোবাসেন। আর সেটা সত্যি ছিলো। ওনার মায়া জড়ানে কন্ঠে বলা এক একটা কথা আমার হৃদয়ে গেঁথে গেছে। আর তার কিছুই কিনা আয়ানের মনে নেই! আবারও আমার সামনে স্বাভাবিক থাকার অভিনয় করছেন আয়ান! নাহ! আমার পক্ষে আর এত অভিনয়ের মধ্যে থাকা সম্ভব নয়। আমার আয়ানের সাথে সোজাসুজি কথা বলতে হবে। আয়ানকে আমি কিছুতেই আমার থেকে দূরে সরে যেতে দিবোনা।
।
আমি চোখমুখে পানি দিয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলাম। আমি বেরোনোর পরই আয়ান আমার দিকে তাকিয়ে হসলেন। যে হাসিটা আমার হৃদয় জুড়িয়ে দিতো এখন সেই হাসিটাই আমার ভিতরে এসে আঘাত করছে। কারণ এই হাসিটা আয়ানের অনেক কষ্টের উপর একটা পর্দা। আমি আস্তে আস্তে হেঁটে আয়ানের কাছে এসে দাঁড়ালাম। আয়ান আরেকটু হেসে ওয়াশরুমে চলে গেলেন ফ্রেশ হতে। আমি জানালা খুলে দিয়ে চুল আঁচড়ালাম। তারপর বিছানায় পা ঝুলিয়ে বসে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রইলাম। সূর্যের আলোতে পুরো রুম আলোকিত হয়ে গেছে।
।
আয়ান ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসে ওনার বিছানায় এসে বসলেন। বসে আমার দিকে একটু তাকালেন। আবারও ওনার হাতমুখে পানি। আমি একটু মলিন হেসে আমার ওরনাটা ঠিক আগের মতোই ওনার দিকে এগিয়ে দিলাম। আয়ান একটু অন্যদিকে তাকিয়ে অন্যরকম হাসলেন। তারপর আমার ওরনার এক সাইড দিয়ে হাতমুখ মুছে নিলেন। এইবার ওনার এই অন্যরকম হাসির কারণ বুঝতে কোনো সমস্যা হলো না আমার।
।
আয়ান : তোমার ওরনার উপর এই দুইদিন খুব ধকল গেলো। সরি ফর দ্যাট!
।
আমি আয়ানের দিকে তাকিয়ে না চেয়েও একটু হাসলাম। অনেক সাহস নিয়ে বললাম,
।
আমি : আসলে....
.
আয়ান : যা বলবে চলো বাহিরে গিয়ে শুনবো। রুমে থাকতে থাকতে অস্থির হয়ে পড়েছি।
.
আমি : যাবো কিন্তু একটা শর্তে।
.
আয়ান : শর্ত? কিসের শর্ত?
.
আমি : শর্ত হলো এই যে জুতোটা এখন আপনি পড়বেন।
.
আয়ান : তোমাকে বলেছি তো আমি ঠিক আছি। আর বাহিরে গিয়ে কোথাও বসে থাকবো। জুতা পড়া না পড়া সমান।
।
আমি : আপনি যদি জুতা না পড়েন তাহলে বাহিরে কেনো কোথাও যাবোনা। জুতা পড়া না পড়া যেহেতু সমান, সেহেতু আমি খালি পায়ে থাকলেও তো কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। আমি আপনার কোনো কথাই শুনবো না, তাই বৃথা চেষ্টা করবেননা।
.
আয়ান : আচ্ছা বাবা ঠিকাছে। তোমার সাথে তো কথায় পারবোনা! রুম তো শুধু রাতের জন্য বুক করেছিলাম কিন্তু আমাদের জন্য গাড়ি আসতে তো প্রায় ১২ টা বাজবে। এখন সবেমাত্র ৯ টা বাজে। এখনও অনেক সময় কাটাতে হবে। আমি রিসিপশনে আরও ১০০ টাকা পে করে এই তিন ঘন্টা ম্যানেজ করার চেষ্টা করি। আব্বুকে তো এই জায়গার ঠিকানাটাই বলেছিলাম। গাড়ি এখানেই আসবে।
.
আমি : হুম।
.
আয়ান : কি হয়েছে? তোমার মুখ এরকম ফ্যাকাশে লাগছে ক্যানো?
.
আমি : কিছুনা। আমি ঠিকাছি। আপনি জুতো পড়ে নিন। তারপর বাইরে চলুন।
.
আয়ান : হুম। জানো, আমার পায়ের নিচে কেমন জানি পিচ্ছিল কিছু অনুভব করলাম। তোমার সাথে এরকম হয়েছে কিছু?
.
আমি : না।
।
আমার পায়ের নিচে পিচ্ছিল অনুভব হবেই বা ক্যানো? আমার পায়ে তো আর কেউ ভ্যাসলিন মাখিয়ে দেয়নি। চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলাম আমি। আয়ান জুতো পড়ে নিলেন। তারপর আমরা দুজন রুম থেকে বেরিয়ে পড়লাম। আয়ান রিসিপশনে গিয়ে আরও ১০০ টাকা পে করে বললেন বাকি টাকা আর ৩-৪ ঘন্টা পর ক্লিয়ার করে দিবেন। আমরা হোটেলের বাইরে গার্ডেনের মতো জায়গায় এক সাইডে ঘাসের উপর বসে পড়লাম।সারা রাতের ঠান্ডার পর যখন সূর্যের আলো শরীরে এসে পড়ল তখন সারা শরীর উষ্ণতায় ভরে গেলো।
।
আয়ান আর আমি দুজনই মুখোমুখি হয়ে বসে আছি। আমি চুলের বাঁধন খুলে চুলগুলো ছড়িয়ে দিয়ে রোদ পোহাতে লাগলাম। তাকিয়ে দেখি আয়ান আমার দিকে মায়াভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। আয়ানের উপর খুব রাগ হচ্ছে আমার। মনে মনে বলছি, "আপনি শুধু তাকিয়েই থাকবেন, মুখ ফুটে কিছু তো বলবেন না।"
অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলাম আয়ানের মুখ ফুটে কিছু বলার। কিন্তু উনি কিছুই বলছেন না। শুধু একটু পর পর আমার দিকে তাকাচ্ছেন। আমিও ওনার দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছি। একটু পর আয়ান বলে উঠলেন,
।
আয়ান : এই তুমি আমার দিকে ওভাবে তাকাচ্ছো ক্যানো?
.
আমি : কোনভাবে তাকাচ্ছি?
.
আয়ান : কেমন জানি একটা রাগী রাগী লুক।
।
আমি কিছুই বলছিনা। চুপচাপ মুখ গোমড়া করে বসে ওনার দিকে রাগী চেহারা নিয়ে তাকিয়ে আছি। আয়ান কিছুক্ষণ এদিক ওদিক তাকিয়ে কি যেন ভেবে বললেন,
।
আয়ান : বুঝতে পেরেছি তুমি কেনো রেগে আছো।
।
আমি আয়ানের কথা শুনে চমকে উঠলাম! ঠোঁটের কোণায় হাসি ফুটে উঠলো। হয়ত ওনার কাল রাতের সব কথা মনে পড়ে গেছে। আমি চোখমুখে একরাশ আশা নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
।
আমি : কি বুঝেছেন আপনি?
.
আয়ান : তোমার খিদে পেয়েছে। তাই তুমি রেগে আছো। তাইনা?
।
আয়ানের কথা শুনে মন চাইছিলো ওনার মাথার সবগুলো চুল টেনে টেনে ছিঁড়ি। বজ্জাত ছেলে কোথাকার! ঘোড়ার আন্ডাটা বুঝেছেন আপনি! ওনার কথা শুনে রাগ আরও কয়েক ডিগ্রী বেড়ে গেলো! আমি মুখ ঘুরিয়ে চুপচাপ বসে থাকলাম।
।
আয়ান : খিদে পেয়েছে সেটা আগে বলোনি কেনো? আমারও খেয়াল ছিলোনা।
.
আমি : আমার খিদে পায়নি।
.
আয়ান : আরেহ! সেই কোনসময় খেয়েছো। খিদে তো পাবেই। আমি খাবার অর্ডার দিয়ে আসি। এখনও ১৭৮ টাকা অবশিষ্ট আছে ম্যাডাম। সো, নো টেনশন!
.
আমি : আচ্ছা আপনি কি ঠশা?
.
আয়ান : মানে?
.
আমি : এই যে বললাম, আমার খিদে পায়নি তাও শুনছেন না। যান চা নিয়ে আসেন, চা খাবো।
।
আয়ান একটু শব্দ করে হাসলেন। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
।
আয়ান : চা খাবে? শুধুই চা?
.
আমি : কে বলেছে শুধু চা? এনার্জি প্লাস আনবেন। আপনি এত কিপ্টা ক্যান, হ্যাঁ? যান চা আর বিস্কিট নিয়ে আসবেন। একটা প্যাকেট আমার একাই লাগবে, আপনার সাথে একটুও শেয়ার করতে পারবো না।
.
আয়ান : আমি আবার কখন কিপটামি করলাম রে বাবা! মানুষ ঠিকই বলে কারও ভালো করতে নেই, হুহ!
.
আমি : হয়ে গেছে আপনার? আরও কিছু বলার থাকলে তারাতারি বলে শেষ করুন। তারপর প্লিজ চা নিয়ে আসুন, যান।
.
আয়ান : যাচ্ছি যাচ্ছি।
।
আয়ান উঠে গেলেন। আমি বসে বসে ওনার জন্য অপেক্ষা করছি আর ভাবছি ওনার সাথে কিভাবে ঐ বিষয়ে কথা বলা শুরু করা যায়। কিছুক্ষণ পর আয়ান চা হাতে ফিরে এলেন। উনি আমার পাশে বসতে লাগতেই আমি ওনাকে থামিয়ে দিলাম।
।
আমি : এই এই দাঁড়ান।
.
আয়ান : কি হলো?
.
আমি : এইবার চা নিয়ে আসার সময় চা গরম চা গরম বললেন না ক্যানো?
.
আয়ান : তখন তো দুষ্টুমি করে বলেছিলাম। তাই বলে সবসময় বলতে হবে?
.
আমি : হ্যাঁ হবে।
.
আয়ান : আচ্ছা ঠিকাছে। চা গরম, এই নাও।
.
আমি : না না এভাবে না। ঐ দূরে গিয়ে দাঁড়ান। তারপর আবার ফিরে আসার সময় চা গরম চা গরম বলতে বলতে আসবেন, যান।
.
আয়ান : হোয়াট!! আবার ফিরে যাবো?
.
আমি : হ্যাঁ। ধুর! যান তো তারাতারি।
।
আয়ান ভ্রু কুঁচকে কয়েক সেকেন্ড আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন। তারপর উপায় না পেয়ে আবার ফিরে গেলেন। এরকম মুহূর্তেও ওনার হাল দেখে আমার খুব হাসি পাচ্ছে। ভিতরে ভিতরেই হাসছি। উনি আবারও "চা গরম! চা গরম! বলতে বলতে আমার পাশে এসে বসলেন। তারপর আমার দিকে একটা কাপ এগিয়ে দিলেন। আমি ওনার হাত থেকে কাপটা নিলাম।
।
আয়ান : তোমার জন্য আমার নিজেকে চাওয়ালা মনে হচ্ছে।
.
আমি : বেশ হয়েছে।
।
এহহ! ভালোবাসবে জনাব কিন্তু প্রকাশও করবেননা! চা ফেরি করাই এনার জন্য ঠিক! আয়ান ওনার পকেট থেকে বিস্কিটের একটা প্যাকেট আমাকে দিলেন। আমি রাগের চোটে এত জোরে বিস্কিটের প্যাকেট খুললাম যে, অর্ধেক বিস্কিটই ভেঙে গেলো। সেই দৃশ্য দেখে আয়ানের কি হাসি! হাসতে হাসতে উনি লুটোপুটি খাচ্ছেন। ওনাকে হাসতে দেখে আমার প্যাকেটটা ওনার হাতে ধরিয়ে দিয়ে ওনার বিস্কিটের প্যাকেটটা কেড়ে নিলাম। আয়ান আমার কেড়ে নেওয়া দেখে হা করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। আমি অলরেডি বিস্কিট ডুবিয়ে চা খাওয়া শুরু করে দিয়েছি।
।
আয়ান : নিজের ভাগেরগুলা ভাঙলো আর আমারটা আবার কেড়েও নিলো! কি ডেঞ্জেরাস মেয়ে!
।
আমি আমার বিস্কিটগুলো গপাগপ শেষ করে আয়ানের হাতের প্যাকেটও কেড়ে নিলাম। আয়ান তো অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।
।
আয়ান : এই তুমি একে তো নিজে বিস্কিটগুলো ভেঙে আমাকে দিলা। আমি ভালো মানুষ দেখে কিছু বললাম না। এখন আবার আমার প্যাকেটটাও আত্মসাৎ করলা!
.
আমি : বেশী কথা বললে ঢাকায় গিয়ে আঙ্কেলকে বিচার দিবো যে আপনি আমার ভালোমতো খেয়াল রাখেননি।
.
আয়ান : ব্লেকমেইল!!
।
চা খাওয়া শেষ করার পর আবারও দুজন পাশাপাশি বসে আছি। অনেককিছু বলতে চাইছি কিন্তু গলায় এসে আটকে যাচ্ছে। সাহস করে বলে উঠতে পারছিনা।...
।
।
......চলবে.....
।