মিষ্টি বউ আর দুষ্ট বর এর গল্প
CommunitySee All

Invite your friends to like this Page

10,304 people like this

10,412 people follow this
Related Pages
- »»»“ভালবাসি তাই ‘শুধুই কষ্টো’ সহে যায়”«««Just For Fun
- শুধু তোমারি অপেক্ষায়Personal Blog
- হৃদয়ের না বলা কথাPublic Figure
- See Moretriangle-down
#Real_Love♥
# Oniya_Chowdhury
Part:14
.
.
আন্টি ইচ্ছামতো আধাঘন্টা ভরা খাইয়েছে।আমি আন্টিকে যখনই বলি"আন্টি, আর না।প্লিজ।"
ইফাজ আমার অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে বলে"আরে খাও।একদিন এতো খেলে কিছু হবে না।মানে তুমি মোটা হবে না।ভবিষ্যতে তো প্রতিদিন এভাবে খেতে হবে।তখন মোটা হলেও হতে পারো।"ওর কথাগুলো শুনে আমার শরীর জ্বলে যাচ্ছিলো।মায়া বলতে কিচ্ছু নেই ছেলেটার!
.
ইয়াশ আমাকে ওর স্টাডি রুমে বসিয়ে রেখে লেপটপ আনতে গেলো।আমি ঘুরে ঘুরে রুমটা দেখছিলাম।লেপটপ টা এনেই আমাকে হাত ধরে ইয়াশ সোফায় বসিয়ে লেপটপটা সামনে রাখলো।
.
লেপটপটা ওপেন করেই ইয়াশ ভিডিও খুজতে লাগলো।তখনই ওদের দুইভাইয়ের প্রায় অনেক ভিডিও দেখতে পেলাম।ইয়াশ ওদের দুইভাইয়ের লুঙ্গিডান্স ভিডিও টা ওপেন করলো।
.
ওপেন করার সাথে সাথেই ফার্স্ট লেখা উঠলো"LUNGGI DANCE NEW VERSION"লেখাটা দেখেই আমার হাসি পেলো।
.
লেখাটা দেখানোর পরই দুইভাই সানগ্লাস পরে এনট্রি নিলো।দুইজনই হাতাকাটা গেন্জি পরা।সাথে লুঙ্গি।গান শুরু হওয়ার সাথে সাথেই দুইভাইয়ের উড়াধুড়া নাচ।ইফাজ তো রীতিমতো লুঙ্গির নিচের অংশটুকু হাটুর উপর তুলে হানি সিংয়ের মতো নাচ শুরু করেছে।ইয়াশ কম কিসে!সে ইফাজের থেকে আরো এগিয়ে।ইয়াশ রীতিমতো লুঙ্গি একেবারে উপরে তুলে একবার ছেড়ে দিয়ে আবার উপরে তুলে নাচছে!ইয়াশের অবশ্য লুঙ্গির নিচে হাফপ্যান্ট পরা ছিলো!ইয়াশের লুঙ্গি কয়েকবার খুলে যাওয়াতে ইফাজ হাফপ্যান্টের মধ্যে লুঙ্গিটা গুজেঁ দিয়ে আবার দুইভাইয়ের সেই ঐতিহাসিক নাচ!
.
আমি বেশি হাসলে পেটে ব্যাথা করে।যেই ব্যাথাটা এখন করছে ওদের নাচ দেখে!কোনোরকমে পেটে হাত চেপে বসে আছি।
.
ভিডিওটা শেষ হতেই ইয়াশ জিঙ্গেস করলো,
- কেমন হয়েছে ভাবি?
- অনেক ফানি ছিলো! ভিডিও করেছিলো কে?
- আপু!আপুর পেটে তখন মাহিন ছিলো।আমাদের লুঙ্গিড্যান্স দেখে আপুর হাসতে হাসতে এমন অবস্থা হয়েছিলো যে তার পরের দিন ই ভোর বেলা হসপিটালে ভর্তি করতে হয়েছে।আব্বু আম্মু তখনও জানতো না আমাদের জন্যই যে আপুর এই অবস্থা হয়েছে।আপুও কিছুই জানায়নি আব্বু আম্মুকে।
ভাবি!আমাদের বেবিডল গানের নাচ দেখবা?ওইটা আরো সুন্দর!
.
আমি অবাক হয়ে বললাম,
- ছিঃ!ইফাজ আর তুমি বেবিডলেও নেচেছো?
ইয়াশ হাসতে হাসতে বললো,
- হুম!
ইয়াশ ওদের বেবিডল গানের ভিডিওটা ওপেন করলো!ওপেন করার সাথে সাথেই মাঝখানে বড় করে লেখা উঠলো"Efaaz & Eyash VS Sunny Leone"লেখাটা পড়েই আমার মাথা ঘুরছিলো!
.
লেখাটার দুইপাশে ইয়াশ আর ইফাজের পুরো খালি গায়ে হাফপ্যান্ট পরা অবস্থায় দুইটা পিক শো করলো।ইফাজকে এই প্রথম এই অবস্থায় দেখলাম।
.
মাত্রই ওদের ঐতিহাসিক নাচ শুরু হবে সেই মুহূর্তে ইফাজ রুমে ঢুকে আমার পাশে বসে বললো,
- এখনো দেখা শেষ হয়নি?.....কথাটা বলেই ইফাজ লেপটপের দিকে তাকাতেই আমাদের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ঠাস্ করে লেপটপটা বন্ধ করলো!হঠাৎ এরকম করাতে আমি,ইয়াশ দুজনই চমকে উঠলাম।
.
আমি ইফাজের কান্ড দেখে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম,
- এটা কি হলো?
ইয়াশ বললো,
- ভাইয়া,ভাবি একটু আমাদের বেবিডল নাচটা দেখবে।দাও না!
- আগে তোর ভাবিকে বিয়ে করে আনি তারপর এই নাচটা দেখার অনুমতি পাবে!তখন যত ইচ্ছা দেখিস!এখন না!
আমি ইফাজের কথা শুনে ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বললাম,
- কেনো?বিয়ের আগে দেখলে প্রবলেম কি?
- তুমি বুঝবা না!.......কথাটা বলেই ইফাজ লেপটপটা নিয়ে রুম থেকে চলে গেলো।যাওয়ার সময় বলে গেলো"টিয়াপাখি,আপু ডেকেছিলো তোমাকে!যাও,দেখা করে আসো!"
.
ইফাজ বেবিডল নাচটা দেখতে দিলো না দেখে খুব রাগ হলো।ইয়াশ আমার দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
- ভাবি,রাগ করো না।তুমি যেদিন ভাইয়াকে বিয়ে করে এই বাড়িতে আসবা,ওইদিন রাতে আমি আর তুমি বসে বসে আমাদের সবগুলো ভিডিও দেখবো।
- ওইদিন রাতেই?
- হুম!ওইদিন আমি আগে থেকেই লেপটপটা এখানে লুকিয়ে রাখবো তুমি যখন আসবা তখন আমরা লুকিয়ে লুকিয়ে সবগুলো নাচ দেখবো আর অনেক মজা করবো,হুম?
ইয়াশের কথা শুনে প্রচন্ড হাসি পেলো।হাসিটা কোনোরকমে কন্ট্রোল করে আমি ইয়াশকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
- ওকে!আমাদের যেদিন বিয়ে হবে ওইদিন রাতেই আমরা সব ভিডিও দেখবো।
.
আমি আর ইয়াশ আপুর রুমে চলে আসলাম।এসে দেখলাম বাবু ঘুমাচ্ছে আর আপু বসে বসে ফোন দেখছে।আমাদের দেখেই আপু ফোন রেখে বললো,
- বসো।
আমি আপুর পাশে বসতে বসতে বললাম,
- ভাবলাম আপনি ঘুমোচ্ছিলেন।তাই আর ডিস্টার্ব করতে আসি নি।
আপু হাসতে হাসতে বললো,
- আমি রাতে ছাড়া ঘুমাই না।দিনের বেলায় এমনি চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকি।
- ওহ্!
আপু ইয়াশের দিকে তাকিয়ে বললেন,
- ইয়াশ!দেখে আসো তো আম্মু কি করে?
ইয়াশ আমার হাত ধরে টান দিয়ে বললো,
- ভাবি চলো,আম্মুর কাছে যাই!
- ইয়াশ,আমি শুধু তোমাকে দেখে আসতে বলেছি।
- একা যাবো না।
- উফ্!এদিকে আসো।
ইয়াশ আপুর কাছে যেয়ে বললো,
- কি?
- তুমি যদি ভাবির সাথে এভাবে আঠার মতো লেগে থাকো তাহলে তো ইফাজ আর ওকে আমাদের বাসায় আনবে না।এমনকি ইফাজ ওকে বিয়ে করে ওর নতুন ফ্লাটে চলে যাবে।এই বাসায় আর আনবে না।তখন কি তোমার ভালো লাগবে?
- আমিও ভাবীর কাছে চলে যাবো।
আমি আপুকে বললাম,
- ও সবসময় আমার সাথে থাকবে।ওকে আমার খুব ভালো লাগে।
কথাটা বলেই ইয়াশকে জড়িয়ে ধরে গালে একটা কিস করলাম।
.
হঠাৎ আপু বললেন,
- হিয়া!তোমার ফোন কি এখন তোমার কাছে আছে?
- হুম,এইতো।
আমি আপুকে ফোনটা দেখালাম।আপু আমার থেকে ফোনটা নিলেন।আমি চুপচাপ বসে বসে আপুর কান্ড দেখছি।আপু উনার ফোনসহ আমার ফোন চালাচ্ছেন।অবাক লাগছে।
.
কিছুক্ষণ পর ফোনটা দিয়ে ইশারায় চেক করতে বললেন।ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলাম ননদ নামে সেভ করা নাম্বার থেকে ম্যাসেজ আসছে।ম্যাসেজটা ওপেন করে দেখলাম সেখানে লেখা-"ইফাজ এই দুই বছর তুমিহীন তোমার বার্থডে সেলিব্রেট করেছে ফেন্ডদের নিয়ে।এইবার ওর সবফ্রেন্ডের কথা দিয়েছে ওদের ভাবিকে এবার সবার সামনে প্রেজেন্ট করবে।তোমাকে তো ইফাজ একা পাচ্ছেই না।ইয়াশ আর তুমি যেভাবে দুজন দুজনের সাথে লেগে আছো।মনে তো হয় না তোমাকে একা পাবে।ইফাজ একটু আগে এসে আমাকে ব্যাপারটা জানালো।ইফাজের ফ্রেন্ডরা একটা রেস্টুরেন্ট এ সব এ্যারেন্জ করেছে।দুটোর দিকে ইফাজ তোমাকে নিয়ে বের হবে।রেডি থাকতে বলেছে।ও তোমাকে নিজেই বলতো বাট ইয়াশ আর তুমি কেউ কাউকে ছাড়ছো না দেখে আমাকে বলতে বাধ্য হয়েছে!"পুরো ম্যাসেজটা পড়ে আমি অবাক হয়ে আপুর দিকে তাকালাম।আপু আমার তাকানো দেখে হাসছে।
.
আমার মনেই ছিলো না আজ যে আমার বার্থডে।দুইদিন ধরে ফেসবুকেও ঢোকা হয়নি।নিশ্চয় ফ্রেন্ডরা উইশ করেছে।নাফিসাটাও একবারও উইশ করলো না।আমি ফোনটা হাতে নিয়ে চুপচাপ বসে আছি।আপু আমার সামান্য কাছে এসে আমার হাত ধরে বললো,
- হিয়া!you know what....আন্টির কাছ থেকে তোমার সব পছন্দের খাবারের লিস্ট আম্মু জেনে নিয়ে আজ সকাল থেকে আম্মু খুব যত্ন করে সেগুলো রান্না করছে।ইফাজ কালরাতে যখন আম্মুকে বলেছে আজ তোমার বার্থডে আর আজই তোমাকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসবে।আম্মুর আনন্দ দেখে কে!কালরাত থেকেই আম্মু প্লান শুরু করে দিয়েছে।আজ তোমাকে আম্মু নিজে আম্মুর পছন্দের শাড়ি পরাবে।আম্মুতো....
.
আমি অবাক হয়ে আপুর দিকে তাকিয়ে আপুকে থামিয়ে জড়িয়ে ধরে বললাম,
- আপু,একটু আস্তে আস্তে বলো না!কথাগুলো নিতে কষ্ট হচ্ছে!আমি নিজের শ্বশুরবাড়ি,হাজবেন্ড,তার ভাইবোনদের নিয়ে এতোটাও বেশি আশা করি নি।যতটা তোমরা আমাকে নিয়ে করছো।কখনো ভাবিনি এরকম একটা শ্বশুরবাড়ি আমার ভাগ্যে আছে।আম্মু যখন উনার সাথে আমাকে একা একা পাঠালো তখন কত্তকিছু শিখিয়ে দিচ্ছিলো।আমি তখন একটু ভয়ে ভয়ে ছিলাম তোমরা কেমন হবে না হবে!বাট এখানে আসার পর তোমাদের এক একজনের ব্যবহারে নিজেকে কেমন ছোট মনে হচ্ছে।
- এই যে তাড়াতাড়ি চোখ মুছো।কান্না করলে একদম মাইর দিবো।
.
কথাগুলো বলতে বলতে কখন গলা ভারী হয়ে এসেছে টেরই পাই নি।চোখ দিয়েও পানি পরছে।আমি আপুকে ছেড়ে চোখের পানি মুছে আপুর দিকে তাকিয়ে সামান্য হাসলাম।
.
ইয়াশ বাবুর সাথে খেলছিলো।বাবু কখন ঘুম থেকে উঠলো খেয়াল ই করি নি।আপু আমার হাত ধরে বললো,
- আমি খুব খুশি হয়েছি আমাকে তুমি বলে ডেকেছো তার জন্য।এখন থেকে তুমি বলেই ডাকবে।আপনি বলতে যেনো না শুনি।
.
আমি কখন আপুকে তুমি করে বললাম!আমি অবাক হয়ে আপুর দিকে তাকিয়ে মাত্রই বলতে যাচ্ছিলাম,
- আমি আপনাকে.....
- এই নো আপনি.....তুমি করে বলো।
- আপু,আমি আপনাকে কখন.....
- কোনো কথা শুনবো না।তুমি করে বলবা,ব্যস্!
.
আমি আর কিছু বললাম না।আপুর ফোনে কারোর ম্যাসেজ আসাতে আপু ফোনের দিকে তাকালো।কয়েক সেকেন্ড পর হেসে হেসে ফোনটা আমার দিকে ধরে বললো,
- হিয়া!লুক!
.
আমি ফোনের দিকে তাকালাম!একটা ম্যাসেজ "আপু,হিয়াকে আমার রুমে একটু পাঠাও তো!আরজেন্ট!ও আসতে নাও চাইতে পারে বাট তুমি জোড় করে একটু পাঠিয়ে দাও!" ম্যাসেজটা পড়ে আমি পুরো শক খেলাম।আপুর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে লজ্জায় নিচের দিকে তাকালাম।
.
আপু আস্তে করে আমাকে বললো,
- যাও,ইয়াশকে আমি দেখছি।
.
আমি আস্তে করে আপুর কাছ থেকে উঠে এলাম।মানুষ এতোটা খারাপ হয় কিভাবে?নিজের বড় বোনের কাছে ম্যাসেজ পাঠিয়েছে আমাকে রুমে যাওয়ার জন্য!নিজের কাছেই লজ্জা লাগছে!
.
আমি উনার রুমের সামনে দাড়িয়ে কিছুক্ষণ জোরে জোরে নিশ্বাস নিলাম।তারপর আস্তে করে দরজা খুললাম।দরজা খোলার সাথে সাথেই বেডের দিকে চোখ গেলো।বেডের উপর বসে বসে উনি টাওয়াল দিয়ে শরীর মুচ্ছিলেন।মাত্রই মনে হয় শাওয়ার নিয়ে বের হলেন।দরজা খোলার শব্দে উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
- আপু বলেছে কিছু?
আমি অবাক হয়ে জিঙ্গেস করলাম,
- কি বলবে?
- দুইটার দিকে একজায়গায় যাওয়ার কথা আছে।বলে নি?
- ওহ্!বলেছে।
- আচ্ছা!এটা জানার জন্যই ডেকেছিলাম।
- সিরিয়াসলি!
ওহ্ শীট!তাড়াতাড়ি নিজের মুখটা চেপে ধরলাম।হঠাৎ মুখ ফসকে"সিরিয়াসলি"কথাটা বের হয়ে গেছে।আমি ভেবেছিলাম উনি অন্যকিছুর বলার জন্য ডেকেছেন।যেভাবে আরজেন্ট বলে ডেকে আনলেন।সামান্য এই কথাটা জিঙ্গেস করার জন্য উনি রুমে ডাকবে,ভাবতে পারি নি!
.
উনি বেড থেকে উঠে আমার কাছে এসে উনার ভেজাঁ চুলগুলো একহাত দিয়ে ঝাকিয়ে চুলের পানি আমার মুখে ছিটিয়ে দিয়ে বললেন,
- অন্যকিছু ভেবেছিলে নাকি?
কথাটা বলেই উনি মিষ্টি একটা হাসি দিলেন।আমি উনার দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে অন্যদিকে তাকালাম।উনি হঠাৎ আমার কপালে চুমো খেয়ে বেডের কাছে যেয়ে বেডের উপর টাওয়ালটা রেখে শার্ট পরতে পরতে বললেন,
- রেডি হয়ে নাও তাড়াতাড়ি।আজ শুনলাম আম্মু নাকি তোমাকে সাজিয়ে দিবে!আম্মুর কিন্তু সবকিছুতেই অনেক লেট হয়।আমি আম্মুকে বলে দিচ্ছি তোমাকে তাড়াতাড়ি রেডি করাতে।
- আজ আমার বার্থডে আপনি জানলেন কিভাবে?
উনি অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
- আপু সব বলে দিয়েছে?
- হুম।কেনো আপনি মানা করেছিলেন নাকি বলতে?
- ওভাবে মানা করিনি।আবার আপু যে তোমাকে বলে দিবে সেটাও ভাবিনি।
.
আমি উনার কান্ড দেখে অবাক হয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে বললাম,
- আমার সামনেই!ছিঃ।
উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
- আমি তো এখনও পরিনি।যাষ্ট হাতে নিলাম প্যান্টটা।
- যাইহোক।এক ই তো।........কথাটা বলেই রুম থেকে বের হয়ে আসলাম।
.
.
(চলবে)
# Oniya_Chowdhury
Part:14
.
.
আন্টি ইচ্ছামতো আধাঘন্টা ভরা খাইয়েছে।আমি আন্টিকে যখনই বলি"আন্টি, আর না।প্লিজ।"
ইফাজ আমার অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে বলে"আরে খাও।একদিন এতো খেলে কিছু হবে না।মানে তুমি মোটা হবে না।ভবিষ্যতে তো প্রতিদিন এভাবে খেতে হবে।তখন মোটা হলেও হতে পারো।"ওর কথাগুলো শুনে আমার শরীর জ্বলে যাচ্ছিলো।মায়া বলতে কিচ্ছু নেই ছেলেটার!
.
ইয়াশ আমাকে ওর স্টাডি রুমে বসিয়ে রেখে লেপটপ আনতে গেলো।আমি ঘুরে ঘুরে রুমটা দেখছিলাম।লেপটপ টা এনেই আমাকে হাত ধরে ইয়াশ সোফায় বসিয়ে লেপটপটা সামনে রাখলো।
.
লেপটপটা ওপেন করেই ইয়াশ ভিডিও খুজতে লাগলো।তখনই ওদের দুইভাইয়ের প্রায় অনেক ভিডিও দেখতে পেলাম।ইয়াশ ওদের দুইভাইয়ের লুঙ্গিডান্স ভিডিও টা ওপেন করলো।
.
ওপেন করার সাথে সাথেই ফার্স্ট লেখা উঠলো"LUNGGI DANCE NEW VERSION"লেখাটা দেখেই আমার হাসি পেলো।
.
লেখাটা দেখানোর পরই দুইভাই সানগ্লাস পরে এনট্রি নিলো।দুইজনই হাতাকাটা গেন্জি পরা।সাথে লুঙ্গি।গান শুরু হওয়ার সাথে সাথেই দুইভাইয়ের উড়াধুড়া নাচ।ইফাজ তো রীতিমতো লুঙ্গির নিচের অংশটুকু হাটুর উপর তুলে হানি সিংয়ের মতো নাচ শুরু করেছে।ইয়াশ কম কিসে!সে ইফাজের থেকে আরো এগিয়ে।ইয়াশ রীতিমতো লুঙ্গি একেবারে উপরে তুলে একবার ছেড়ে দিয়ে আবার উপরে তুলে নাচছে!ইয়াশের অবশ্য লুঙ্গির নিচে হাফপ্যান্ট পরা ছিলো!ইয়াশের লুঙ্গি কয়েকবার খুলে যাওয়াতে ইফাজ হাফপ্যান্টের মধ্যে লুঙ্গিটা গুজেঁ দিয়ে আবার দুইভাইয়ের সেই ঐতিহাসিক নাচ!
.
আমি বেশি হাসলে পেটে ব্যাথা করে।যেই ব্যাথাটা এখন করছে ওদের নাচ দেখে!কোনোরকমে পেটে হাত চেপে বসে আছি।
.
ভিডিওটা শেষ হতেই ইয়াশ জিঙ্গেস করলো,
- কেমন হয়েছে ভাবি?
- অনেক ফানি ছিলো! ভিডিও করেছিলো কে?
- আপু!আপুর পেটে তখন মাহিন ছিলো।আমাদের লুঙ্গিড্যান্স দেখে আপুর হাসতে হাসতে এমন অবস্থা হয়েছিলো যে তার পরের দিন ই ভোর বেলা হসপিটালে ভর্তি করতে হয়েছে।আব্বু আম্মু তখনও জানতো না আমাদের জন্যই যে আপুর এই অবস্থা হয়েছে।আপুও কিছুই জানায়নি আব্বু আম্মুকে।
ভাবি!আমাদের বেবিডল গানের নাচ দেখবা?ওইটা আরো সুন্দর!
.
আমি অবাক হয়ে বললাম,
- ছিঃ!ইফাজ আর তুমি বেবিডলেও নেচেছো?
ইয়াশ হাসতে হাসতে বললো,
- হুম!
ইয়াশ ওদের বেবিডল গানের ভিডিওটা ওপেন করলো!ওপেন করার সাথে সাথেই মাঝখানে বড় করে লেখা উঠলো"Efaaz & Eyash VS Sunny Leone"লেখাটা পড়েই আমার মাথা ঘুরছিলো!
.
লেখাটার দুইপাশে ইয়াশ আর ইফাজের পুরো খালি গায়ে হাফপ্যান্ট পরা অবস্থায় দুইটা পিক শো করলো।ইফাজকে এই প্রথম এই অবস্থায় দেখলাম।
.
মাত্রই ওদের ঐতিহাসিক নাচ শুরু হবে সেই মুহূর্তে ইফাজ রুমে ঢুকে আমার পাশে বসে বললো,
- এখনো দেখা শেষ হয়নি?.....কথাটা বলেই ইফাজ লেপটপের দিকে তাকাতেই আমাদের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ঠাস্ করে লেপটপটা বন্ধ করলো!হঠাৎ এরকম করাতে আমি,ইয়াশ দুজনই চমকে উঠলাম।
.
আমি ইফাজের কান্ড দেখে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম,
- এটা কি হলো?
ইয়াশ বললো,
- ভাইয়া,ভাবি একটু আমাদের বেবিডল নাচটা দেখবে।দাও না!
- আগে তোর ভাবিকে বিয়ে করে আনি তারপর এই নাচটা দেখার অনুমতি পাবে!তখন যত ইচ্ছা দেখিস!এখন না!
আমি ইফাজের কথা শুনে ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বললাম,
- কেনো?বিয়ের আগে দেখলে প্রবলেম কি?
- তুমি বুঝবা না!.......কথাটা বলেই ইফাজ লেপটপটা নিয়ে রুম থেকে চলে গেলো।যাওয়ার সময় বলে গেলো"টিয়াপাখি,আপু ডেকেছিলো তোমাকে!যাও,দেখা করে আসো!"
.
ইফাজ বেবিডল নাচটা দেখতে দিলো না দেখে খুব রাগ হলো।ইয়াশ আমার দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
- ভাবি,রাগ করো না।তুমি যেদিন ভাইয়াকে বিয়ে করে এই বাড়িতে আসবা,ওইদিন রাতে আমি আর তুমি বসে বসে আমাদের সবগুলো ভিডিও দেখবো।
- ওইদিন রাতেই?
- হুম!ওইদিন আমি আগে থেকেই লেপটপটা এখানে লুকিয়ে রাখবো তুমি যখন আসবা তখন আমরা লুকিয়ে লুকিয়ে সবগুলো নাচ দেখবো আর অনেক মজা করবো,হুম?
ইয়াশের কথা শুনে প্রচন্ড হাসি পেলো।হাসিটা কোনোরকমে কন্ট্রোল করে আমি ইয়াশকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
- ওকে!আমাদের যেদিন বিয়ে হবে ওইদিন রাতেই আমরা সব ভিডিও দেখবো।
.
আমি আর ইয়াশ আপুর রুমে চলে আসলাম।এসে দেখলাম বাবু ঘুমাচ্ছে আর আপু বসে বসে ফোন দেখছে।আমাদের দেখেই আপু ফোন রেখে বললো,
- বসো।
আমি আপুর পাশে বসতে বসতে বললাম,
- ভাবলাম আপনি ঘুমোচ্ছিলেন।তাই আর ডিস্টার্ব করতে আসি নি।
আপু হাসতে হাসতে বললো,
- আমি রাতে ছাড়া ঘুমাই না।দিনের বেলায় এমনি চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকি।
- ওহ্!
আপু ইয়াশের দিকে তাকিয়ে বললেন,
- ইয়াশ!দেখে আসো তো আম্মু কি করে?
ইয়াশ আমার হাত ধরে টান দিয়ে বললো,
- ভাবি চলো,আম্মুর কাছে যাই!
- ইয়াশ,আমি শুধু তোমাকে দেখে আসতে বলেছি।
- একা যাবো না।
- উফ্!এদিকে আসো।
ইয়াশ আপুর কাছে যেয়ে বললো,
- কি?
- তুমি যদি ভাবির সাথে এভাবে আঠার মতো লেগে থাকো তাহলে তো ইফাজ আর ওকে আমাদের বাসায় আনবে না।এমনকি ইফাজ ওকে বিয়ে করে ওর নতুন ফ্লাটে চলে যাবে।এই বাসায় আর আনবে না।তখন কি তোমার ভালো লাগবে?
- আমিও ভাবীর কাছে চলে যাবো।
আমি আপুকে বললাম,
- ও সবসময় আমার সাথে থাকবে।ওকে আমার খুব ভালো লাগে।
কথাটা বলেই ইয়াশকে জড়িয়ে ধরে গালে একটা কিস করলাম।
.
হঠাৎ আপু বললেন,
- হিয়া!তোমার ফোন কি এখন তোমার কাছে আছে?
- হুম,এইতো।
আমি আপুকে ফোনটা দেখালাম।আপু আমার থেকে ফোনটা নিলেন।আমি চুপচাপ বসে বসে আপুর কান্ড দেখছি।আপু উনার ফোনসহ আমার ফোন চালাচ্ছেন।অবাক লাগছে।
.
কিছুক্ষণ পর ফোনটা দিয়ে ইশারায় চেক করতে বললেন।ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলাম ননদ নামে সেভ করা নাম্বার থেকে ম্যাসেজ আসছে।ম্যাসেজটা ওপেন করে দেখলাম সেখানে লেখা-"ইফাজ এই দুই বছর তুমিহীন তোমার বার্থডে সেলিব্রেট করেছে ফেন্ডদের নিয়ে।এইবার ওর সবফ্রেন্ডের কথা দিয়েছে ওদের ভাবিকে এবার সবার সামনে প্রেজেন্ট করবে।তোমাকে তো ইফাজ একা পাচ্ছেই না।ইয়াশ আর তুমি যেভাবে দুজন দুজনের সাথে লেগে আছো।মনে তো হয় না তোমাকে একা পাবে।ইফাজ একটু আগে এসে আমাকে ব্যাপারটা জানালো।ইফাজের ফ্রেন্ডরা একটা রেস্টুরেন্ট এ সব এ্যারেন্জ করেছে।দুটোর দিকে ইফাজ তোমাকে নিয়ে বের হবে।রেডি থাকতে বলেছে।ও তোমাকে নিজেই বলতো বাট ইয়াশ আর তুমি কেউ কাউকে ছাড়ছো না দেখে আমাকে বলতে বাধ্য হয়েছে!"পুরো ম্যাসেজটা পড়ে আমি অবাক হয়ে আপুর দিকে তাকালাম।আপু আমার তাকানো দেখে হাসছে।
.
আমার মনেই ছিলো না আজ যে আমার বার্থডে।দুইদিন ধরে ফেসবুকেও ঢোকা হয়নি।নিশ্চয় ফ্রেন্ডরা উইশ করেছে।নাফিসাটাও একবারও উইশ করলো না।আমি ফোনটা হাতে নিয়ে চুপচাপ বসে আছি।আপু আমার সামান্য কাছে এসে আমার হাত ধরে বললো,
- হিয়া!you know what....আন্টির কাছ থেকে তোমার সব পছন্দের খাবারের লিস্ট আম্মু জেনে নিয়ে আজ সকাল থেকে আম্মু খুব যত্ন করে সেগুলো রান্না করছে।ইফাজ কালরাতে যখন আম্মুকে বলেছে আজ তোমার বার্থডে আর আজই তোমাকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসবে।আম্মুর আনন্দ দেখে কে!কালরাত থেকেই আম্মু প্লান শুরু করে দিয়েছে।আজ তোমাকে আম্মু নিজে আম্মুর পছন্দের শাড়ি পরাবে।আম্মুতো....
.
আমি অবাক হয়ে আপুর দিকে তাকিয়ে আপুকে থামিয়ে জড়িয়ে ধরে বললাম,
- আপু,একটু আস্তে আস্তে বলো না!কথাগুলো নিতে কষ্ট হচ্ছে!আমি নিজের শ্বশুরবাড়ি,হাজবেন্ড,তার ভাইবোনদের নিয়ে এতোটাও বেশি আশা করি নি।যতটা তোমরা আমাকে নিয়ে করছো।কখনো ভাবিনি এরকম একটা শ্বশুরবাড়ি আমার ভাগ্যে আছে।আম্মু যখন উনার সাথে আমাকে একা একা পাঠালো তখন কত্তকিছু শিখিয়ে দিচ্ছিলো।আমি তখন একটু ভয়ে ভয়ে ছিলাম তোমরা কেমন হবে না হবে!বাট এখানে আসার পর তোমাদের এক একজনের ব্যবহারে নিজেকে কেমন ছোট মনে হচ্ছে।
- এই যে তাড়াতাড়ি চোখ মুছো।কান্না করলে একদম মাইর দিবো।
.
কথাগুলো বলতে বলতে কখন গলা ভারী হয়ে এসেছে টেরই পাই নি।চোখ দিয়েও পানি পরছে।আমি আপুকে ছেড়ে চোখের পানি মুছে আপুর দিকে তাকিয়ে সামান্য হাসলাম।
.
ইয়াশ বাবুর সাথে খেলছিলো।বাবু কখন ঘুম থেকে উঠলো খেয়াল ই করি নি।আপু আমার হাত ধরে বললো,
- আমি খুব খুশি হয়েছি আমাকে তুমি বলে ডেকেছো তার জন্য।এখন থেকে তুমি বলেই ডাকবে।আপনি বলতে যেনো না শুনি।
.
আমি কখন আপুকে তুমি করে বললাম!আমি অবাক হয়ে আপুর দিকে তাকিয়ে মাত্রই বলতে যাচ্ছিলাম,
- আমি আপনাকে.....
- এই নো আপনি.....তুমি করে বলো।
- আপু,আমি আপনাকে কখন.....
- কোনো কথা শুনবো না।তুমি করে বলবা,ব্যস্!
.
আমি আর কিছু বললাম না।আপুর ফোনে কারোর ম্যাসেজ আসাতে আপু ফোনের দিকে তাকালো।কয়েক সেকেন্ড পর হেসে হেসে ফোনটা আমার দিকে ধরে বললো,
- হিয়া!লুক!
.
আমি ফোনের দিকে তাকালাম!একটা ম্যাসেজ "আপু,হিয়াকে আমার রুমে একটু পাঠাও তো!আরজেন্ট!ও আসতে নাও চাইতে পারে বাট তুমি জোড় করে একটু পাঠিয়ে দাও!" ম্যাসেজটা পড়ে আমি পুরো শক খেলাম।আপুর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে লজ্জায় নিচের দিকে তাকালাম।
.
আপু আস্তে করে আমাকে বললো,
- যাও,ইয়াশকে আমি দেখছি।
.
আমি আস্তে করে আপুর কাছ থেকে উঠে এলাম।মানুষ এতোটা খারাপ হয় কিভাবে?নিজের বড় বোনের কাছে ম্যাসেজ পাঠিয়েছে আমাকে রুমে যাওয়ার জন্য!নিজের কাছেই লজ্জা লাগছে!
.
আমি উনার রুমের সামনে দাড়িয়ে কিছুক্ষণ জোরে জোরে নিশ্বাস নিলাম।তারপর আস্তে করে দরজা খুললাম।দরজা খোলার সাথে সাথেই বেডের দিকে চোখ গেলো।বেডের উপর বসে বসে উনি টাওয়াল দিয়ে শরীর মুচ্ছিলেন।মাত্রই মনে হয় শাওয়ার নিয়ে বের হলেন।দরজা খোলার শব্দে উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
- আপু বলেছে কিছু?
আমি অবাক হয়ে জিঙ্গেস করলাম,
- কি বলবে?
- দুইটার দিকে একজায়গায় যাওয়ার কথা আছে।বলে নি?
- ওহ্!বলেছে।
- আচ্ছা!এটা জানার জন্যই ডেকেছিলাম।
- সিরিয়াসলি!
ওহ্ শীট!তাড়াতাড়ি নিজের মুখটা চেপে ধরলাম।হঠাৎ মুখ ফসকে"সিরিয়াসলি"কথাটা বের হয়ে গেছে।আমি ভেবেছিলাম উনি অন্যকিছুর বলার জন্য ডেকেছেন।যেভাবে আরজেন্ট বলে ডেকে আনলেন।সামান্য এই কথাটা জিঙ্গেস করার জন্য উনি রুমে ডাকবে,ভাবতে পারি নি!
.
উনি বেড থেকে উঠে আমার কাছে এসে উনার ভেজাঁ চুলগুলো একহাত দিয়ে ঝাকিয়ে চুলের পানি আমার মুখে ছিটিয়ে দিয়ে বললেন,
- অন্যকিছু ভেবেছিলে নাকি?
কথাটা বলেই উনি মিষ্টি একটা হাসি দিলেন।আমি উনার দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে অন্যদিকে তাকালাম।উনি হঠাৎ আমার কপালে চুমো খেয়ে বেডের কাছে যেয়ে বেডের উপর টাওয়ালটা রেখে শার্ট পরতে পরতে বললেন,
- রেডি হয়ে নাও তাড়াতাড়ি।আজ শুনলাম আম্মু নাকি তোমাকে সাজিয়ে দিবে!আম্মুর কিন্তু সবকিছুতেই অনেক লেট হয়।আমি আম্মুকে বলে দিচ্ছি তোমাকে তাড়াতাড়ি রেডি করাতে।
- আজ আমার বার্থডে আপনি জানলেন কিভাবে?
উনি অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
- আপু সব বলে দিয়েছে?
- হুম।কেনো আপনি মানা করেছিলেন নাকি বলতে?
- ওভাবে মানা করিনি।আবার আপু যে তোমাকে বলে দিবে সেটাও ভাবিনি।
.
আমি উনার কান্ড দেখে অবাক হয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে বললাম,
- আমার সামনেই!ছিঃ।
উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
- আমি তো এখনও পরিনি।যাষ্ট হাতে নিলাম প্যান্টটা।
- যাইহোক।এক ই তো।........কথাটা বলেই রুম থেকে বের হয়ে আসলাম।
.
.
(চলবে)
Comments
Post a Comment